আজকের তারিখ ও সময়ঃ শনিবার, ৪ মে, ২০২৪ ৪:১১:৩৫ AM

পরিচালকের কিছু কথাঃ


বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্ব । অবাধ তথ্য অধিকার এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ আত্ম নির্ভরশীল, সমৃদ্ধ জাতি গঠনে সহায়ক। বিশ্ব যেখানে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে বলিয়ান সেখানে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে এগিয়ে নেবার লক্ষ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষন প্রদানের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। স্পর্শ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার বেকার যুব সমাজকে আত্ম নির্ভরশীল হয়ে উঠতে সাহায্য করছে। প্রতিযোগিতা মুলক বিভিন্ন চাকুরির বাজারে কম্পিউটার শিক্ষার পাশাপাশি টেকনিক্যাল বিভিন্ন কোর্সে বিশেষ যোগ্যতা বলে বিবেচনা করায় শিক্ষিত যুব সমাজ কম্পিউটার ও টেকনিক্যাল প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আইটি ও কারিগরি দক্ষতা লাভ করে চাকুরী ক্ষেত্রে সফলতা বয়ে নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কতৃক অনুমোদন নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ৬মাস মেয়াদী হাতে কলমে কম্পিউটার ও টেকনিক্যাল বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা অত্যন্ত যত্ন সহকারে নিবিড়ভারে প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ লাভ করছেণ। ইতিমধ্যে বহু শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ লাভ করে নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে দক্ষতা ও সফলতার সাথে কাজ করছে।


স্পর্শ কম্পিউটার এন্ড টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানার দয়ারামপুর ইউনিয়নের দয়ারামপুর বাজার ( কাদিরাবাদ সেনানিবাসের সামনে) অবস্থিত। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কম্পিউটারসহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। কম্পিউটার শিক্ষাকে উন্নত দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কম্পিউটার নির্ভর হওয়ায় কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের কাছ থেকে কম্পিউটারের সাধারণ জ্ঞান আশা করে। অনেক কোম্পানিই তাদের ব্যবসায়কে সম্প্রসারণ, সুদক্ষ ও সফল করতে কম্পিউটার এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

 

বর্তমানে সারা বিশ্বে মানব সভ্যতার এ চূড়ান্ত বিকাশে প্রযুক্তির অবদান কতটুকু, সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। আধুনিক পৃথিবীর সাথে দ্রুত তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদেরকেও প্রযুক্তির উপরে গুরুত্ব দিতে হবে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় (যেমন : শিক্ষা, বানিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, কৃষি, যোগাযোগ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ভূমি জরিপ অধিদপ্তর, বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে যুগান্তকারী সাফল্য বয়ে এনেছে। তথ্য প্রযুক্তি আজ গোটা পৃথিবীকে পরিবর্তন করে দিয়েছে যেমন- স্কুল, কলেজ, ব্যাংক, বীমা, ব্যবসা বাণিজ্য, ইন্ডাষ্ট্রি সহ সকল কিছু তথ্য প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত। সুতরাং বুঝতে হবে প্রযুক্তির এই যুগে কম্পিউটার  ও টেকনিক্যাল জ্ঞানের গুরুত্ব কতটুকু! সমগ্র পৃথিবী এখন কম্পিউটার এর উপর নির্ভরশীল, এটা এখন খুব সহজে বলা যায়। বিদ্যা এবং তথ্য প্রযুক্তি অসম্ভবকে সম্ভব করে দিতে পারে। তেমনি আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারে সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের পরিবর্তনের জন্য তৃর্ণমূল পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির উপর কাজ করে যাচ্ছি এবং বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা চালু করেছি। আমরা দ্রুত মানুষের কাছে নতুন কিছু পৌঁছে দিতে চাই। পৃথিবী যখন প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে আমাদের মাতৃভূমি পিছিয়ে থাকার কোন সুযোগ নেই। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ ঘরে বসেই কেনাকাটা থেকে শুরু করে সকল কাযর্ক্রম অনলাইনের মাধ্যমে করে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে গ্রাম পর্যায়ে এখনও প্রত্যাশিতভাবে প্রযুক্তি নির্ভর সেবার প্রশিক্ষন ব্যবস্থা চালু হয়নি। তাই আমরা চাই দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে শহর পযর্ন্ত প্রযুক্তি নির্ভর সেবার প্রশিক্ষন ব্যবস্থা চালু করতে। যাহাতে সাধারণ মানুষ প্রশিক্ষণের পর ঘরে বসেই কম্পিউটার মাধ্যমে সকল কাযর্ক্রম অনলাইনের করতে পারে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারও তৃর্ণমূল পর্যায় থেকে বাধ্যতামূলক কম্পিউটার শিক্ষা চালু করছেন। যেহেতু আজ দেশ দিন দিন বেকারত্বে সংখ্যা বেড়ে চলছে যা দুর করা সকলের দায়িত্ব শুধু সরকারেরই নয়, তাই আমরা কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই। দক্ষ জনবল সৃষ্টি করে দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।